সময়ের সাথে তাল মেলাতে কি করা উচিৎ জানুন বিস্তারিত
ডিজিটাল বিশ্বের এই সময়ে কতকিছুই বদলে যাচ্ছে, সময়ের সাথে সাথে বদলে যাচ্ছে আমাদের জীবন ধারণের মাধ্যমগুলো। জীবনের পথ, আমাদের ক্যারিয়ার, আমাদের দৈনন্দিন জীবন সবকিছুই যেন রংধনুর সাত রংয়ের মতো বদলে যাচ্ছে।
যখন জীবনের দৈনন্দিন কাজের রাস্তাগুলো বদলাতে শুরু করে তখন আমাদের উচিৎ পুরনো পদ্ধতি পরিহার করে নতুনত্বকে গ্রহণ করা এবং সেই নতুনত্বের সাথে নিজেদের খাপখাওয়ানো। যাতে হঠাৎ করেই কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয়।অথবা আমাদের দৈনন্দিন জীবনটাতে যাতে কোন ধরনের ব্যাঘাত না ঘটে। তাই প্রযুক্তির এই সময়ে আমাদের উচিৎ নিজের অভিজ্ঞতা বাড়ানো। যাতে নতুনত্ব আমাদের মধ্যে কোন বিপর্যয় ঘটাতে না পারে।
আমরা এক এক জন এক এক জায়গায় বা পজিশনের মানুষ যার কারণে রীতিমতো চিন্তায় পড়ে যায় আমাদের এই সময়টাতে নিজেকে কিভাবে গোছানো উচিৎ। কিভাবে গুছিয়ে গেলে অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবো এই বিষয়গুলো রীতিমতো অবাক করার মতোই।
আজকে আপনাদের এই চিন্তা, এত বেশি উদ্বেগ এসব থেকে কিভাবে মুক্তি পেতে পারেন সেটা নিয়েই আলোচনা করি। আচ্ছা চিন্তা করুন ত ছোটবেলায় যদি আমরা কথা বলা না শিখতাম বড় হয়ে কি রকম বেকায়দায় পড়তে হতো?
কি অবাক হচ্ছেন তাই না?
কথা বলা শিখেও এখন বেকায়দায় পড়তে হয়নি সেটা কেউ বলবে না। তবে জীবনের প্রতিটা ধাপেই আমাদের এমন কিছু স্টেপ বা ধাপ থাকে। সচরাচর আমার সেগুলো চিন্তা করিনা, অনুধাবন করিনা।
এটা অবশ্য আমাদের দোষ না, আমাদের সময়, পরিস্থিতি এগুলো আমাদের ভাবতে সুযোগ করে দেয় না। আমরা মানুষ হিসেবে অদ্ভুত, এটা কেন বললাম জানেন?
কারণ, আমরা পদে পদে সময় এবং পরিস্থিতিকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করতেই ভালোবাসি। দেখুন না একটু সময় নিয়ে ভেবে।
কারণে অকারণে আমরা সময়ের দোষ দিই বা পরিস্থিতির দোষ দিই। অথচ সেখানে আসল কারণ আমরা খুঁজে বের করতে পারিনা। তাই আমাদের উচিৎ সামনের সময়গুলো যেন অন্তত এইভাবে না যায় তাই নিজেদের সেভাবে পরিবর্তন করে সেভাবেই গড়ে তুলা।
বর্তমান সময়ে আমরা অনেকেই কাজ নেই, বসে থাকি। কি করবো, কিছুই ত করার মত নেই। এই সেই আরও কতসব বাহানা। অথচ চাইলেই আমরা নিজেদেরকে কোন একটা বিষয়ে অভিজ্ঞ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।
প্রশ্ন জাগতে পারে, বর্তমান এই সময়ে এমন কোন জিনিস গুলো আছে যেগুলো নিয়ে নিজেকে অভিজ্ঞ করলে পরবর্তী তে অন্যদের সাথে তাল মিলিয়ে চলা যাবে!
যদিও এমন অনেক কিছু রয়েছে তবে আমি আজকে এমন কয়েকটি স্কিল বা দক্ষতার কথা বলবো যেগুলো ছাড়া আপনার সামনের দিনগুলো অন্ধকার বলা চলে।
প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। আমাদের বর্তমান সময়ের প্রায় অধিকাংশ কাজই অনলাইনে করার উপযোগী। ফলে আমরা এখন কম্পিউটার বা যন্ত্রে আটকাতে শুরু করেছি।
কম্পিউটার নিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা অর্জন করতেই হবে।
এখন কম্পিউটার নিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন মানে কম্পিউটার মেকানিক হওয়া নয়। সুতরাং কোন বিষয়গুলো নিয়ে অভিজ্ঞ হতে পারলে নিজেকে দক্ষ হিসেবে বলা যায় বা সামনের দিনগুলোতে কাজে আসবে সেগুলো এখন জানবো।
আমাদের কোন বিষয়গুলোর উপর নিজের স্কিল ডেভেলপমেন্ট করা আবশ্যক ?
আমাদের জন্য আবশ্যক কয়েকটি বিষয় যেগুলোর দক্ষতা আমাদের থাকা উচিৎ। সেরকম কিছু বিষয় তুলে ধরলামঃ
- কম্পিউটার টাইপিং বা লিখালিখির দক্ষতা
- মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বা MS Word
- মাইক্রোসফট এক্সেল বা MS Excel
- মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট বা MS Power Point
- কম্পিউটার নিরাপত্তা বা Computer Security
এই যে বিষয়গুলো এখানে উল্লেখ্য করলাম বিষয়গুলোকে কম্পিউটারের Alphabet বলা যায়।
অর্থাৎ আমরা বাংলায় অ,আ,ক,খ না জানলে যেমন বাংলায় কথা বলতে পারবো না তেমনি কম্পিউটারের এই বিষয়গুলো নিয়ে না জানলে আমরা কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারি সেটা বলতেও পারবো না।
তাই আমাদের উচিৎ আমাদের ছাত্র জীবনেই এই বিষয়গুলোর উপর দক্ষতা অর্জন করা। এতে পরবর্তীতে গিয়ে আমাদের এগুলো নিয়ে চাপ পেতে হবে না।
এসব দক্ষতার বর্তমানের সাথে কতটা গুরুত্বপূর্ণ বা যৌক্তিক?
আপনি বর্তমানের সকল দিকে থাকান। চাকরির সার্কুলার প্রকাশ করেছে দেখুন সেখানে লিখা আছে কম্পিউটার টাইপিং দক্ষতা থাকতে হবে। তাও আবার স্লো হলে হবে না, মিনিটে ২০ শব্দ লিখতে পারতে হবে। নইলে আপনি সেখানে আবেদন করতে পারবেন না। তাহলে কম্পিউটার টাইপিং না জানলে, আপনার অন্যান্য যত যোগ্যতা থাকুক না কেন, কিন্তু আপনি চাকরির জন্য যোগ্য নয়।
এরপর আসুন বাকি বিষয়গুলো তে। বর্তমান সময়ের আমাদের প্রায় সবারই কম্পিউটার আছে। বিভিন্ন কাজ করতে গিয়ে আমাদের ব্যবহার করতে হয় MS Word, MS Excel, MS Power Point এর মত বিষয়গুলো। তাহলে আমরা যদি এগুলো না জানি আমরা কোথায় থাকবো ভেবে দেখুন।
সুতরাং আমাদের সকলের উচিৎ এই ব্যসিক বিষয়গুলোর উপর নিজেকে দক্ষ করে তোলা।
বিষয়গুলোর উপর নিজেকে দক্ষ করার উপায় কি ?
হ্যাঁ, অনেকের কাছে এই প্রশ্ন থাকবে। এটা স্বাভাবিক। বর্তমানে আমাদের আশেপাশেই অনেক নামকরা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কিছু শেখাচ্ছে। বিভিন্ন কোর্স চালু করেছে। চাইলেই নিমিষেই সেখান থেকে আমরা নিজেরা এসব বিষয়ে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারি। তাছাড়া অনলাইনেই রয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান যেগুলো অনেক ভালো ভালো কোর্স আমাদের উপহার দিচ্ছে। ফলে আমরা ঘরে বসেই কোর্স করার সুযোগ পাচ্ছি। সাথে পাচ্ছি সার্টিফিকেটও।
মোবাইলে কি কম্পিউটার টাইপিং শেখা সম্ভব ?
অনেকের কাছে কম্পিউটার নেই। আবার এমনও আছে অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে আমরা কম্পিউটার কিনতে পারিনা। হ্যাঁ আপনারা চাইলেই মোবাইলে কম্পিউটার টাইপিং শিখতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে একটা কম্পিউটার কিবোর্ড ক্রয় করে আনতে হবে এবং চাইলে USB HUB দিয়ে একসাথে Keyboard এবং মাউস ব্যবহার করে মোবাইলে প্রাকটিস করতে পারবেন।
লিখেছেন : আবু তাহের
Founder of Mcqsir.com
যেকোনো প্রয়োজনে কমেন্ট করুন।